ঢাকা থেকে BS211 ফ্লাইটে মোট ৭১ জন যাত্রী ছিলেন, বিমানটি ছিল 17 বছর বয়েসী Bombardier Dash 8 Q400 turboprop দ্বারা চালিত। দুর্ঘটনায় চারজন ক্রু সদস্যও মারা যায়, এই দুর্ঘটনায় সর্ব মোট ৫১ জন যাত্রী নিহত। ৩১ জন যাত্রী নিহত হয় ঘটনাস্থলে এবং ৪০ জন যাত্রী কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হসপিটালে পাঠানো হয়, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা ছিল অনেক গুরুতর। হসপিটালে ২১ জন কে বাঁচানো সম্ভব হয় নাই।
বিমানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ দুর্ঘটনার জন্য আকাশ ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারকে দোষারোপ করে বলেন যে তারা "ভুল সংকেত" দিয়েছিলো। এয়ার ট্রাফিক নিরীক্ষণের ওয়েবসাইট www.liveatc.net দ্বারা পোস্ট করা রেকর্ডিং এবং বিমানের ব্ল্যাক বাক্স পর্যালোচনা করে তা পুনরায় দেখা হবে যে আকাশ ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার সত্যি ভুল সংকেত দিয়েছিলো কিনা।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সঞ্জীব গৌতম বলেন, "বিমানটি কোটেবাড়ার উপর রানওয়েটির দক্ষিণাঞ্চল থেকে অবতরণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু উত্তরাঞ্চল দিক থেকে অবতরণ করেছে," আমরা এই অস্বাভাবিক অবতরণের পিছনে'র কারণটি অনুসন্ধান করছি।"
নেপালের এয়ার সিকিউরিটি রেকর্ডে, সোমবারের দুর্ঘটনার পূর্বে, এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কে'র ডেটা অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে 44 টি ঘটনা ঘটেছে। যা কিনা, যে কোনো বিমান বন্দরের জন্য এটা মারাত্মক দুর্বল নিরাপত্তা ব্যাবস্তা হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
কাঠমান্ডু'র বিমানবন্দরএ সোমবারের সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা'র আগে যে দুর্ঘটনা গুলি ঘটেছিলো :
২০১২ সেপ্টেম্বরে, মাউন্ট এভারেস্টের অভিযান চালানো একটি 'সিটা এয়ার ট্রারফ্রপ' বিমানটি একটি পাখি'র আঘাতের দুর্ঘটনায় মারা যায় ১৯ জন যাত্রী।
২০১৫ মার্চ-এ, একটি তুর্কিশ ২২৪ যাত্রীবাহি বিমান, রানওয়ে থেকে পিছলে যাওয়ার কারণে, সবাইকে বিমান থেকে নেমে যেতে হয় ।
২০১৬ ফেব্রুয়ারীতে , একটি টাওয়ার এয়ার ফ্লাইটের দুর্ঘটনার ফলে ২৩ জন যাত্রীর মৃত্যু ঘটে ।
'কাপিল কাউল', যিনি বিমান পরিবহন পরামর্শক সংস্থার প্রধান CAPA India বলেন যে, নেপালের নিরাপত্তার রেকর্ডটি এখন একটি চ্যালেঞ্জ'র মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে পাহাড়ের ভূখণ্ডের জন্য। । তিনি আরও বলেন, "বেশিরভাগ ছোট বিমানের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হচ্ছে পর্বতভূখণ্ড। আমি আশা করবো স্থানীয় সরকার এব্যাপারে নজর প্রদান করবে।